বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পর্যটক সামলাতে দেয়াল তুলছে জাপান ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র, একাদশে যারা আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হয়নি: ওবায়দুল কাদের অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে : সিইসি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ
দশমিনায় প্রতি হালি মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়

দশমিনায় প্রতি হালি মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়

স্বদেশ ডেস্ক:

উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালীর দশমিনার তেতুঁলিয়া-বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে প্রকাশ্যে মা ইলিশ নিধন করে বিক্রি করছে কতিপয় জেলে। মা ইলিশ নিধনের এ রেকর্ড উপজেলায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় মা ইলিশ নিধন হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। অবশ্য জেলেরা ঋণের বোঝা কাধে নিয়ে জেল-জরিমানা উপেক্ষা করে মা ইলিশ নিধন করছে বলে দাবি করছেন মৎস্য ব্যবসায়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মা ইলিশ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা ধীর গতির ট্রলার দিয়ে অভিযান পরিচালনা করার কারণে জেলেরা মা ইলিশ নিধন করে অনায়াসে পালিয়ে যায়। মা ইলিশ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা নদীর একদিকে অভিযান পরিচালনা করলে অন্যপ্রান্তে জাল ফেলে মা ইলিশ নিধন করছেন জেলেরা।

এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকা স্থানীয় জেলেরা অভিযোগ করেছেন, মৎস্য দপ্তর ইচ্ছে করেই ধীর গতির ট্রলার দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। যার কারণে অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকারে লিপ্ত জেলেরা মাছ শিকার করে পালিয়ে যাওয়ার পরও সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌছতে পারে না অভিযান পরিচালনাকারীরা।

উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ আকনের অভিযোগ, মৎস্য দপ্তর ও নৌ-পুলিশের সাথে যোগসাজশ করেই জেলেরা নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করছেন।

অপরদিকে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্যে মা-ইলিশ বেচাকেনার বিষয়টি এখন উপজেলার আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। যা রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে জনসাধারণের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে মা ইলিশ নিধন ও বিভিন্ন পয়েন্টে প্রকাশ্যে বিক্রির আলোচনা-সমালোচনা।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতারা জানান, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট, ঢনঢনিয়া বাজার, কেজিরহাট, গোলখালি, আউলিয়াপুর ও পাতার চরে নিষিদ্ধ সময়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে চলে মা ইলিশ বেচাকেনা। সন্ধ্যা হলেই রাত্রিকালীন এসব হাটে দেখা যায় ক্রেতা ও উৎসুক জনতার ভিড়। কেউ কিনতে আসেন, আবার কেউ আসেন দেখতে। হালি প্রতি ৯ শত টাকা থেকে ১২ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় এসব মা ইলিশ। ক্রেতারা এসব মাছ ক্রয় করে উপজেলা সদরের বালিকা বিদ্যালয় সড়ক, আরজবেগী সড়ক ও পূজাখোলা সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, উল্লেখিত স্পটে প্রশাসন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমাদের বাজেট সংকটের কারণে শতভাগ সফল হওয়া যাচ্ছে না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877